মাগুরা প্রতিনিধিঃ মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার পলাশবাড়ীয়ায় এক প্রাইমারি শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। শনিবার রাত ১১.০০ ঘটিকার সময় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঐ শিক্ষকের মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসীর দেওয়া তথ্য মতে, গতকাল (১৯ জুন) শনিবার বিকালে আসরের নামাজের সময় পূর্ব বিরোধের জেরে উপজেলার পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের পলাশবাড়িয়া উত্তর-পূর্বপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিক্ষকের নাম মোঃ আলাউদ্দীন ওরফে পাখি মাস্টার (৫৫)।
তিনি পলাশবাড়িয়া গ্রামের মৃত আব্দুল হক মোল্যার ছেলে ও পলাশবাড়িয়া পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছু দিন ধরে পাখি মাস্টারের সাথে একই গ্রামের মৃত মুন্নাফ মোল্যার ছেলে বাঁশি মোল্যার বিরোধ চলে আসছিল।
শনিবার বিকালে আসরের নামাজ আদায় করতে মসজিদে যায় পাখি মাস্টার। মসজিদে একা নামাজ আদায় করত দেখে একই গ্রামের রবিউল মোল্যা এবং বাঁশি মোল্যা একই সময়ে মসজিদে প্রবেশ করে।
নামাজে দাঁড়ানোর মুহূর্তে পাখি মাস্টারকে পেছন থেকে জাপটে ধরে ফেলে দিয়ে বাটাম দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকে। আহত পাখি মাস্টারের চিৎকার শুনে পার্শ্ববর্তী লোকজন দ্রুত ছুটে আসলে রবিউল মোল্যা ও বাঁশি মোল্যা তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
পাখি মাস্টারকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় রাত ১১টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয় ।
এ বিষয়ে মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব তারক বিশ্বাস বলেন, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।